বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
ঢাবিতে মাদ্রাসা থেকে পড়ে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফার্সি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মোঃ আরিফ বিল্লাহ। তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে এর প্রতিবাদ জানান।
“ইতিহাসের একজন অধ্যাপক মাদ্রাসার ছাত্রদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে কিছু হঠকারী অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য দিয়েছেন। যা আমাকে বিস্মিত করেছে।
এই ধরনের বক্তব্য একমাত্র অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোকদের পক্ষেই সম্ভব। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায় । স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে এই অধ্যাপকের কোন ধারনাই নেই। কয়েকবছর আগে ঘ ইউনিটে ১০% ছাত্রও ইংরেজিতে পাশ করতে পারেনি।
আমার মনে হয় এই ধরনের অধ্যাপকের বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে স্কুলে ইংরেজি পড়ানো উচিত। ওনার কথায় মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা মাদ্রাসায় পড়া লোকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
লক্ষ লক্ষ জিপিএ৫ গোল্ডেন-৫ পাওয়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কেন মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য এই অধ্যাপককে আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি নিজেও একজন মাদ্রাসার ছাত্র। আমার মনে হয় আমাদের ইংরেজিতে বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হওয়া প্রয়োজন। তাহলে আসল চিত্র ধরা পড়বে।
আমার মত আরও অনেকেই মাদ্রাসার ছাত্র আছেন যারা ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার মত দেশের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন।
আমি মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি করেছি উনি কোন স্কুলে পিএইচডি করেছেন আমার জানা নেই।
আর সব শেষে বলি, এই ইতিহাসের শিক্ষকের জানা থাকার কথা মাদ্রাসার ছাত্ররাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথম দিকের সিংহভাগ ছাত্রই ছিল মাদ্রাসার ছাত্র।
এঁরা আসলে মাদ্রাসা না বরং ইসলাম বিদ্বেষী।এই মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে এঁদের স্পর্ধা দেখে বিস্মিত হতে হয়। এদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।”
সহযোগী অধ্যাপক, ফার্সি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।